ইট সংক্রান্ত কিছু তথ্য
ইটঃ ইট কন্সট্রাকশনে অতি দরকারি একটি উপকরণ। ইট বলতে আমরা পাথর সদৃশ,মাটি পুড়িয়ে পাওয়া বস্তু কেই বুঝাই। ভাল ইট হতে হলে তাকে শক্ত, যথাযথ পোরানো , হোমোজিনিয়াস টেক্সচার, ইউনিফর্ম সাইজ, ক্র্যাক বিহীন এর হতে হবে সেই সাথে এর রঙ কেও যথাযথ হতে হবে। ফাস্টক্লাস ইটের রঙ সাধারণত গাড় লালচে বা তামাটে হয়ে থাকে। ভাল ইটকে পরস্পর আঘাত করলে মেটালিক সাউন্ড হয়ে থাকে। যার সারফেসে ষ্টীল নেইল দ্বারা দাগ কাটলে কোন পার্মানেন্ট দাগ পরে না।
চিত্রঃ ইট |
গড়ে ১২ টি ইটের কম্প্রেসিভ স্ত্রেন্থ মিনিমাম 170 kg/cm^2 বা 2400 psi হতে হবে। আর একটি মাত্র ইট নিয়ে কম্প্রেসিভ স্ট্রেন্থ টেস্ট করলেও মিনিমাম 140 kg/cm^2 বা 2000 psi হতে হবে।
ইটের পানি শোষণ ক্ষমতা সরবোচ্চ ইটের শুষ্ক ওজনের ১৫% পর্যন্ত হতে পারবে। ইটে ইফ্লরোসেন্স থাকা যাবে না। প্রয়জনে স্যালাইনিটি টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ইটের আদর্শ সাইজ (+/- 3 mm): 240 mm,170 mm & 70 mm
ইটের কিছু ফিল্ড টেস্ট যার মাধ্যমে সাইটেই ইটের সম্পর্কে ধারনা করা যাবে।
মারকিং টেস্ট ঃ ইটের গায়ে নখের মাধ্যমে দাগ কাটার চেষ্টা করলে যদি দাগ না কাটা যায় তবে ধরে নিতে হবে ইট টি ভাল। আর যদি কাটা যায় তাহলে বুঝতে হবে ইট টি ভাল নয়।
সাউন্ড টেস্ট ঃ দুইটি ইট নিয়ে যদি পরস্পর আঘাত করলে যদি ধাতব শব্দ হয় তাহলে বুঝতে হবে ইট টি ভাল।
টি টেস্টঃ দুইটি ইট একসাথে নিয়ে ইংরেজি টি বর্ণের মত করে ৪ ফিট উচ্চতা থেকে মোটামুটি শক্ত সারফেসের উপর ফেলে দিলে যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে বুঝতে হবে ইটটি ভাল নয়। আর যদি ভেঙ্গে না যায় তাহলে বুঝতে হবে ইট টি ভাল।
Comments
Post a Comment